দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর ও সবুজবাগ এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে চিরুনি অভিযানসহ নিয়মিত মশা নিধন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। নগরীতে মশা জন্মানোর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অনেককে জরিমানাও করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে রাজধানীর ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
২০০০ সালে ডেঙ্গুর প্রথম প্রকোপে সাড়ে পাঁচ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং ৯৩ জনের মৃত্যু হয়।
এবারও পরিস্থিতি মহামারী পর্যায়ে যায়নি বলে মনে করছে সরকার।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুর চিকিৎসা জটিল কিছু না, গুরুত্বপূর্ণ হলো সময়মতো হাসপাতালে আসা।’
ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর প্রকৃত চিত্র জানতে মাঠপর্যায়ে গবেষণা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।