কানপুর টেস্টের তৃতীয় ইনিংসের পরই ম্যাচের ফলাফল অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ দেওয়া ৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ভারতের কত ওভার লাগবে, সেটিই ছিল দেখার বিষয়। আগের ইনিংসে টি-টোয়েন্টির গতিতে খেলা ভারত এবার অবশ্য ওয়ানডের মতো করে রান তুলেছে। তিন উইকেট হারালেও রোহিত শর্মার দল সহজেই জয় নিশ্চিত করেছে। গ্রিনপার্কে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল টিম ইন্ডিয়া।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) টেস্টের পঞ্চম দিনে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় ভারত। ৯৫ রানের লক্ষ্য তারা ৩ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায়। এটি গ্রিনপার্কে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। এর আগে এই মাঠে সর্বোচ্চ ৮২ রান তাড়া করার রেকর্ড ছিল, যা ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকারের নেতৃত্বাধীন ভারত ১৮.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তাড়া করেছিল।
ভারতকে এদিন জয় এনে দেন যশস্বী জয়সওয়াল। তিনি ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন এবং ৪৫ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৫১ রান করে অর্ধশতক করেন। এছাড়া রোহিত শর্মা ৮ এবং শুভমান গিল ৬ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকারে পরিণত হন। বিরাট কোহলি ৩৭ বলে ৪ চারে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন রিশভ পন্ত।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৪ রানে ২ উইকেট এবং তাইজুল ইসলাম ১ উইকেট শিকার করেন।
আগের দিন ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে দিন শেষ করা বাংলাদেশ শেষ দিনে ১৪৬ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায়। সাদমান ইসলাম সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন। প্রথম ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন মুমিনুল হক, যিনি মাত্র ২ রান করে অশ্বিনের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। তবে শান্ত ১৯ রান করে জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে যান। শান্তর বিদায়ের পর থেকেই টাইগারদের ইনিংসে ধস নামে। মাত্র ৩ রানের মধ্যে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারায়।
অর্ধশতক করা সাদমান আউট হন আকাশদীপের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। এরপর লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানও দ্রুত বিদায় নেন।
মুশফিকুর রহিম একাই লড়াই চালিয়ে যান। তবে লাঞ্চের আগে বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে তার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে এবং বাংলাদেশের ইনিংসও ১৪৬ রানে শেষ হয়।
ভারতের পক্ষে জাসপ্রীত বুমরাহ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা প্রত্যেকে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। বাকি উইকেটটি শিকার করেন আকাশদীপ।