শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
প্রচ্ছদরাজনীতিসংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ৯৮ ভাগই রাজনৈতিক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস...

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ৯৮ ভাগই রাজনৈতিক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘিরে সংঘটিত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ১ হাজার ৪১৫টি অভিযোগের মধ্যে ৯৮ দশমিক ৪ শতাংশই হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। আর মাত্র ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রদায়িক কারণে। গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত এসব ঘটনা নিয়ে পুলিশের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বার্তায় এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অভিযোগ অনুযায়ী, ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ১০টি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ জমা পড়েছে ১ হাজার ৭৬৯টি। এর মধ্যে ১ হাজার ৪১৫টি তদন্ত শেষ হয়েছে এবং বাকিগুলোর তদন্ত চলছে। অনুসন্ধানে ১ হাজার ২৫৪টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২৩৪টি (৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ) ঘটনা ঘটেছে রাজনৈতিক কারণে এবং ২০টি (১ দশমিক ৫৯ শতাংশ) ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রদায়িক কারণে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট স্থান, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা

হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৬২টি মামলা এবং ৯৫১টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নথিভুক্ত হয়েছে।

পুলিশের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যমতে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ১ হাজার ৭৬৯টি অভিযোগের মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট এক দিনেই ১ হাজার ৪৫২টি ঘটনা ঘটেছে, যা মোট অভিযোগের ৮২ দশমিক ৮ শতাংশ। ওই দিন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছিল। ৫ আগস্ট থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশজুড়ে পুলিশের কাছে আরও ১৩৪টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ জমা পড়ে। পুলিশ তদন্ত করে ৫৩টি মামলা ও ৫৩টি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করে এবং ৬৩ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরাও অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অভিযোগ এলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও পড়ুন