শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়ছয় সংস্কার কমিশন শিগগিরই কাজ শুরু করবে

ছয় সংস্কার কমিশন শিগগিরই কাজ শুরু করবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ছয় সংস্কার কমিশন খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবে। ইতিমধ্যে কমিশনগুলোর প্রধানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এবং সদস্যদের নামও প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ বা কালকের মধ্যেই কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সংস্কার কমিশনগুলোর পুরোদমে কাজ শুরুর আগে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা করবে। খুব শিগগিরই এই আলোচনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গত সোমবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, “কমিশনের কাজ শুরু করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ আরেক দফা আলোচনা করতে চায়। খুব দ্রুতই এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা শেষে কমিশনের কাজ শুরু হবে।”

সরকারি সূত্র মতে, ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আজ বা কালকের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সূত্র আরো জানায়, কোনো সুবিধাভোগীকে কমিশনের সদস্য হিসেবে রাখা হয়নি। কমিশনগুলোর প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার এবং সমাজের সব শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ছয়টি সংস্কার কমিশনের কথা ঘোষণা করেন। এসব কমিশনের প্রধানরা হচ্ছেন:

– নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন: বদিউল আলম মজুমদার
– পুলিশ সংস্কার কমিশন: সফর রাজ হোসেন
– বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন: বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান
– দুর্নীতি দমন কমিশন: ইফতেখারুজ্জামান
– জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন: আবদুল মূয়ীদ চৌধুরী
– সংবিধান সংস্কার কমিশন: অধ্যাপক আলী রীয়াজ (পূর্বে শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল)

সংস্কার কমিশনগুলোর অফিসের স্থান ঠিক করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো। যেমন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের অফিস নির্ধারণ করা হয়েছে জাতীয় সংসদের এমপি হোস্টেলের ১ নম্বর ব্লকে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের অফিস নির্ধারণ করা হয়েছে সচিবালয়ের দোতলায়।

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন করলে শফিকুল আলম জানান, নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং রাজনৈতিক আলোচনা শেষ হওয়ার ওপর। তারপরই নির্বাচন কবে হবে তা নির্ধারিত হবে।

এই বিভাগের আরও পড়ুন

googlee2fa12e91d785426%20(1).html