বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রতিবেশ সুরক্ষায় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপটিতে পর্যটকদের ভ্রমণ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নভেম্বরে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন যেতে পারবেন, তবে রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক দ্বীপটিতে যেতে পারবেন এবং রাতে থাকারও সুযোগ পাবেন।
সেন্ট মার্টিনের ৪১ শতাংশ প্রবাল এখনো অবশিষ্ট আছে উল্লেখ করে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, “এটি একটি প্রবাল দ্বীপ। এখন প্রচণ্ড ভার্নারেবল একটি জায়গায় আছে। রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এই কারণে পদক্ষেপগুলো নেওয়া।”
এছাড়াও সেন্ট মার্টিনে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানান তিনি।
দুই হাজার পর্যটক নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, পর্যটকদের নম্বর দেওয়া হবে। যৌথ উদ্যোগে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এর আগে সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় পর্যটক সীমিত করার কথা জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সরকার বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্ট মার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ ঘোষণা করে।
৮ দশমিক ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে একসময় বৈচিত্র্যময় প্রাণীর বাস ছিল। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের অসচেতনতায় এসব প্রজাতির অনেকগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।