রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সাংবাদিকদের জন্য কর্মশালা

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সাংবাদিকদের জন্য কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সাংবাদিকতা কিভাবে করা যায়, সে বিষয়ে একটি কর্মশালা রবিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ক্লাইমেট স্টোরিটেলিং ওয়ার্কশপ ফর জার্নালিস্ট’ শীর্ষক এই কর্মশালায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদনের কৌশল, যুবকদের ভূমিকা এবং স্থানীয় গল্পকে বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপনের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সিপিআরডি এর সিইও মো. শামসুদ্দোহা “অভিযোজন চ্যালেঞ্জ, গবেষণা ও বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতি” বিষয়ে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের স্থানীয়ভাবে অভিযোজন কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং সেগুলোকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে।”

সমাধানমুখী সাংবাদিকতার গুরুত্ব নিয়ে অনলাইনে যুক্ত হন সল্যুশনস জার্নালিজম নেটওয়ার্কের ফারা ওয়ার্নার হোলি ওয়াইজ। তিনি বলেন, “জলবায়ু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সমাধান অংশটি তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ, যা পাঠকদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করবে।”

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস বলেন, “একটি জলবায়ু গল্প বলতে হলে মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে হবে। আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলোতে সমাধান ও অনুপ্রেরণামূলক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে।”

রয়টার্সের সাংবাদিক স্যাম জাহান “স্থানীয় জলবায়ু গল্পকে বৈশ্বিক পাঠকের কাছে কিভাবে পৌঁছানো যায়” সে বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, “সঠিক তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক জ্ঞান থাকা জরুরি। গল্প পিচ করার আগে নিজেই সমালোচনা করে দেখতে হবে গল্পটির গুরুত্ব কোথায়।”

ইয়ুথনেট গ্লোবালের সিইও সোহানুর রহমান “জলবায়ু ন্যায়বিচারে যুবকদের কণ্ঠস্বর কেন গুরুত্বপূর্ণ” সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “যুবকদের অংশগ্রহণ ছাড়া জলবায়ু ন্যায়বিচার সম্ভব নয়। তাঁদের অভিজ্ঞতা ও উদ্যোগগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।”

সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি নাইওকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম “নারীদের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় ও স্থানীয় প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা” বিষয়ে বলেন, “গল্পগুলোকে আরও সহজবোধ্য, স্মরণীয় ও আকর্ষণীয় করতে ব্যক্তি অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো পাঠকদের আবেগকে স্পর্শ করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে।”

জিআইজেএন-এর সাবেক বাংলা সম্পাদক ও ডিজিটালি রাইটসের ম্যানেজিং পার্টনার মিরাজ আহমেদ চৌধুরী “জলবায়ু প্রতিবেদনে কিভাবে অনুসন্ধানী ধাঁচ অন্তর্ভুক্ত করা যায়” সে বিষয়ে বলেন, “গভীরভাবে গবেষণা করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং সেগুলোকে বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।”

কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে নাইওকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। সমাধানমুখী ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তারা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারেন।”

উল্লেখ্য, সিপিআরডিক্লাইমেট ওয়াচ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।

এই বিভাগের আরও পড়ুন