চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালসহ মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে বড় ধরনের বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে সিঙ্গাপুরের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল। ইতোমধ্যে প্রতিনিধিদলটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের লক্ষ্যে এগুচ্ছে সিঙ্গাপুর। ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি (পিএসএ) চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালে বিনিয়োগের লক্ষ্যে নানামুখী প্রক্রিয়া শুরু করেছে। একই সাথে দেশটির ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরাও চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। উল্লেখ্য, বিশ্বের ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের আমদানিকৃত পণ্যের সিংহভাগই সিঙ্গাপুর বন্দর হয়ে দেশে আসে।
গত সপ্তাহে সিঙ্গাপুর সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর পরিদর্শন করে। চট্টগ্রাম বন্দরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, বে টার্মিনালে বিনিয়োগের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের আগ্রহ আগে থেকেই ছিল। এখন দেখার বিষয় তারা মাতারবাড়িতে কোন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, জাপানের সহায়তায় নির্মিত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের মূল অবকাঠামোতে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগের সুযোগ না থাকলেও বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
শিপিং বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ মূলত সিঙ্গাপুর বন্দর ব্যবহার করে। মাদার ভেসেলগুলো সিঙ্গাপুর বন্দরে অবস্থান করে এবং সেখান থেকে ফিডার ভেসেলে পণ্য পরিবাহিত হয়। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে মাদার ভেসেলগুলো সরাসরি বাংলাদেশে আসতে পারবে।
এই পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা এবং বিনিয়োগের রোডম্যাপ ঠিক করবে বলে জানা গেছে। প্রতিনিধিদলের সমন্বয়ক ক্যাপ্টেন ফারুক জানান, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাই করে দেখছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদলের পরিদর্শন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।