বহুল প্রতীক্ষিত কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল–কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী মাসে প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) নিয়োগ দেওয়া হবে বলে রেল ভবন সূত্রে জানা গেছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের মে-জুনে প্রকল্পের জন্য কোরিয়ার পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। পরামর্শক নিয়োগের সাথে সাথে জুনে ভূমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হবে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ)। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ভূমি অধিগ্রহণ সরকারি অর্থায়নে হবে।
কালুরঘাট সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত ফোকাল পার্সন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, কোরিয়ান অর্থায়নে বাস্তবায়িত হতে যাওয়ায় প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হবে কোরিয়া থেকে। পরামর্শক নিয়োগের পর তারা প্রকল্পের বিস্তারিত নকশা তৈরি করবে। নকশা তৈরিতে এক বছর সময় লাগবে। এরপর টেন্ডার আহ্বান করা হবে এবং ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর দিয়ে রেল–কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি গত ৭ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের মধ্যে নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বর্তমান পুরাতন সেতুর পাশে কালুরঘাটে কর্ণফুলীর উপর নতুন রেল–কাম সড়ক সেতু নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। রেলপথ মন্ত্রণালয় ২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।