রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রচ্ছদটপ নিউজচট্টগ্রামে একই সড়কে দুই প্রকল্প: 'দ্বৈততা'র আশঙ্কায় এলইডি বাতি

চট্টগ্রামে একই সড়কে দুই প্রকল্প: ‘দ্বৈততা’র আশঙ্কায় এলইডি বাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) এলইডি বাতি স্থাপন প্রকল্পে ‘দ্বৈততা’র অভিযোগ উঠেছে। জাইকার অর্থায়নে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ রোডে জিআই পোল ও এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়। অথচ গত জুলাই মাসে ভারতীয় ঋণ সহায়তায় ২৬০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্পেও এই সড়কের নাম রয়েছে।

শুধু কলেজ রোড নয়, এলওসি নামে পরিচিত এই প্রকল্পে এমন ৪৮টি সড়ক রয়েছে যা চসিকের অন্য প্রকল্পেও অন্তর্ভুক্ত। কয়েকটিতে এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে এবং কয়েকটিতে কাজ চলছে। অর্থাৎ একই সড়কে বাতি স্থাপনের জন্য দুটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

এতে ‘দ্বৈততার’ সুযোগে প্রকল্পের অর্থ ‘নয়ছয়’ হওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। অনিয়মের খতিয়ে দেখার দাবিও তুলেছেন তারা।

ওই ৪৮টি সড়কের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৪২ কিলোমিটার। এর মধ্যে তিনটিতে জাইকার অর্থায়নে, একটিতে পিডিবির সহায়তায় এবং দুটিতে চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। বাকি ৪২টি সড়কে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

একই সড়ক একাধিক প্রকল্পভুক্ত করা প্রসঙ্গে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ডেকে ডিটেইলস জেনে নেব। প্রকল্পকে ঘিরে কোনো অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না।”

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই চুক্তি হয়েছে। এলওসি প্রকল্পটির যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখছি। অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এলওসি প্রকল্পের পরিচালক চসিকের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ বলেন, “প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১৭ সালে। তৎকালীন প্রশাসনের নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়ক কোভিড ফান্ড থেকে করে ফেলা হয়। এলওসি প্রকল্পের কাজ শুরু হলে সেখানে নতুন সড়ক অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

২০১৯ সালে ‘মর্ডানাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম’ প্রকল্পটি একনেক অনুমোদন করে। এর আওতায় ৪৬৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়কে ২০ হাজার ৬০০টি এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে।

প্রকল্পে ঋণ হিসেবে ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ অর্থের যোগান দেবে ভারত।

এই বিভাগের আরও পড়ুন