চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিনের জাহাজ জটের অবসান হয়েছে। বর্তমানে বিদেশ থেকে আসা কন্টেইনারবাহী জাহাজগুলো বন্দরে পৌঁছানোর সাথে সাথেই জেটিতে ভিড়তে পারছে, যা ‘অন অ্যারাইভাল বার্থিং’ নামে পরিচিত। এই পদ্ধতি চালু হওয়ায় শিপিং বাণিজ্যে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বন্দরের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত কয়েক মাস ধরে সরকারি ছুটি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ছাত্র আন্দোলনের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জটের সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছিল এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বিলম্ব ঘটছিল।
বন্দর কর্তৃপক্ষের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, জাহাজগুলো এখন আর বহির্নোঙরে অপেক্ষা করছে না।
পরিস্থিতির উন্নতির ফলে গত চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ৬.৪৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে ১১ লাখ ১ হাজার ৯১৭ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭১ হাজার ১৬০ টিইইউএস বেশি।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে তুলনামূলকভাবে বড় আকারের জাহাজ (২০০০ টিইইউএস পর্যন্ত) চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে। ফলে জাহাজের সংখ্যা কমলেও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাহাজ জট দূর হওয়ায় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জাহাজের অপেক্ষার সময় কমে যাওয়ায় অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে এবং বাণিজ্যে গতিশীলতা আসছে বলে তারা মন্তব্য করেছেন।