চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও সাতকানিয়া সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া অসংখ্য ইটভাটা গড়ে উঠেছে। পাহাড় কেটে মাটি দিয়ে ইট তৈরি এবং পাহাড়ের গাছ কেটে পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে।
সাতকানিয়া সীমান্তের অসংখ্য ইটভাটার বাইরে সাধনপুর ইউনিয়নের লটমনি মৌজায় ৩টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গুণাগরি এলাকায় ৩টি পাহাড় থেকে মাটি কাটা চলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের টাস্ক ফোর্স, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সরকারিভাবে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন দুটি ইটভাটাকে পাহাড় থেকে মাটি কাটার দায়ে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করে এবং একটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাধনপুর ইউনিয়নের লটমনিতে বসতি এলাকার পাশে বিশাল বিশাল পাহাড় রয়েছে। এসব পাহাড় কেটে সরকারি জায়গার উপর ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পোড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম সালাউদ্দিন কামাল বলেন, “ইটভাটা মালিকদের চিনিও না। পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা বন বিভাগকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।”
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলে ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, “ইটভাটায় কৃষি জমির মাটি ব্যবহার করা নিষেধ। অনাবাদি জমিতে ইটভাটা তৈরি তদন্ত সাপেক্ষে হয়।”
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, “ইটভাটাগুলো নিয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করেছে। পাহাড় কাটা হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”