চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে ইসকন সমর্থকদের হামলায় নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের দেড় বছরের শিশুকন্যা তাসকিয়া এখনো বুঝতে পারেনি তার বাবাকে সে আর কখনো দেখতে পাবে না। বাড়িতে আসা নতুন নতুন লোকজনকে ফ্যাল ফ্যাল চোখে দেখছে সে। অপরিচিত কেউ কোলে নিতে চাইলে যায় না। আদর করার জন্য কোলে নিতে চাইলেও বলে–বাবা আসলে বলে দিব। আর বাবা কোথায় জিজ্ঞেস করলে বলে–বাবা শহরে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা সদরের দরবেশহাট রোডস্থ টেন্ডল পাড়ায় আলিফের নিজ বাসায় গিয়ে শোকের এক ভয়াল আবহ দেখা গেছে। আলিফের মা–বাবা ও স্ত্রী শোকে মুহ্যমান হয়ে কারো সাথে কথা বলার অবস্থায় নেই।
আলিফের ফুফাতো ভাই মহিউদ্দিন জানান, আলিফরা ৫ ভাই ২ বোন। ৪ ভাই প্রবাসী। আলিফ প্রায় ৩ বছর আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দরবেশহাট সওদাগর পাড়ার ইসরাত জাহান তারিনকে বিয়ে করেন। আলিফ ছোটবেলা থেকে সাহসী, প্রতিবাদী ও ভালো মনের ছেলে ছিল।
এদিকে, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে রাত ৮টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনে তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বক্তারা ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি ও আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এছাড়াও উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনে পৃথক পৃথক একাধিক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান জানান, এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লোহাগাড়ায় কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।