চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াসহ তিন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে সেতু নির্মাণের প্রত্যাশায় দিন কাটাচ্ছেন। স্বাধীনতার পর থেকে এই অপেক্ষায় দিন কাটছে এই পথে চলাচলকারী লাখ লাখ মানুষের। মাঝেমধ্যেই আশার আলো দেখা দিলেও, শেষ পর্যন্ত তা আশাহত করে।
সর্বশেষ সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন ও নকশা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্প পরামর্শদাতা এসিই কনসালটেন্ট লিমিটেড এর আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু নির্মাণে বিস্তারিত সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন ও নকশা প্রণয়ন প্রকল্পের আর্থ সামাজিক ও পরিবেশ সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সেতু নির্মাণ করলে যাদের জমি এবং ঘরসহ ক্ষতির মুখে পড়বে তারাসহ স্থানীয়রা মত প্রকাশ করেন এবং সকলেই ক্ষতিপূরণ সাপেক্ষে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে জোর সুপারিশ করেন।
প্রকল্পের সোশ্যাল এন্ড রিসেটেইলমেন্ট বিশেষজ্ঞ মো. ওয়ালিদ আক্তার জানান, ৪৭০-৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতার প্রতিবেদন সওজ’র সেতু বিভাগে দেওয়ার পর তা পরিকল্পনা কমিশন হয়ে একনেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠবে। এরপর টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
স্থানীয়রা জানান, রাঙামাটি হয়ে বান্দরবানে যাতায়াতের জন্য একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী নদীর এই ফেরি। নদীতে বালুচর উঠা, পাহাড়ি ঢলসহ নানা কারণে প্রায়ই আটকে যায় ফেরি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। এই সেতু নির্মিত হলে তিন পার্বত্য জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।
সওজ রাঙ্গামাটি বিভাগের উপ–সহকারী প্রকৌশলী কীর্তি নিশান চাকশা জানান, সেতু নির্মাণের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই, ক্ষতি নিরূপণ ও নকশা প্রণয়নের জন্য একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলেও এই স্থান দিয়ে একটি সেতু নির্মাণ হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।