রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৭৫০ জন অস্থায়ী গেইটকিপারের চাকরি আগামী জুনে (২০২৫ সালে) স্থায়ী হতে যাচ্ছে। রেল মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে আইন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বর্তমানে এই ৭৫০ জন অস্থায়ী গেইটকিপার ২০১৭ সাল থেকে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ক্রসিং এলাকায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না থাকায়, তারা এতদিন প্রকল্পের আওতায় বেতন পেয়ে আসছিলেন। ফলে, প্রতি বছর একনেকের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের পরই তারা বেতন পেতেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ মাস ধরে ৭৫০ জন অস্থায়ী গেইটকিপারের বেতন বকেয়া রয়েছে। তবে, গত ২৩ ডিসেম্বর একনেক সভায় ‘রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (চতুর্থ সংশোধিত) প্রকল্প’ এক বছরের জন্য অনুমোদিত হয়েছে।
একনেকের অনুমোদনের পর অস্থায়ী গেইটকিপাররা তাদের বকেয়া ৬ মাসের বেতন একসাথে পাবেন বলে জানিয়েছেন লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (চতুর্থ সংশোধিত) প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শেখ নাঈমুল হক।
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, “পূর্বাঞ্চলে বর্তমানে ৭৫০ জন অস্থায়ী গেইটকিপার রয়েছেন। তারা ২০১৭ সাল থেকে প্রকল্পের আওতায় পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ক্রসিংয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেয়ার চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “এক বছরে ৭৫০ জন অস্থায়ী গেইটকিপারের বেতন বাবদ ১৪ কোটি টাকা লাগে। প্রতি মাসে তাদের বেতন বাবদ ১ কোটি টাকার উপরে লাগে। সিটি এলাকায় দায়িত্ব পালনরত অস্থায়ী গেইটকিপারদের মাসিক বেতন ১৪ হাজার ৯৫০ টাকা। আর সিটির বাইরে দায়িত্ব পালনরত অস্থায়ী গেইটকিপারদের মাসিক বেতন ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা।”
অস্থায়ী গেইটকিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, “২০২৫ সালের জুনে তাদের চাকরি স্থায়ী হয়ে যাবে। আমরা অনেক দিন থেকে চেষ্টা করছি তাদের স্থায়ীকরণের ব্যাপারে। অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত থাকে, তারপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত থাকে। চাকরি স্থায়ী হলে তারা ২০তম গ্রেডে বেতন ভাতা পাবেন।”
উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর একনেক সভায় পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটিও অনুমোদিত হয়।