ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে নেওয়া ১৩টি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কাজ শুরু করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত একটি কমিটি। এই প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
গতকাল শনিবার কমিটির সদস্যরা সিডিএ কার্যালয়ে এসে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।
পাঁচ সদস্যের এই কমিটির প্রধান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন জানান, এখনো তদন্তের প্রাথমিক পর্যায় চলছে। আগামী সপ্তাহে তারা আবার সিডিএ কার্যালয়ে আসবেন এবং তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে পরে বিস্তারিত জানাবেন।
তদন্তাধীন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার, মুরাদপুর ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, কালুরঘাট থেকে চাক্তাই পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, বাকলিয়া সংযোগ সড়ক, সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্প, সিডিএ স্কয়ার প্রকল্প, কল্পতরু প্রকল্প, সল্টগোলা ডরমেটরি প্রকল্প, বায়েজিদ লিংক রোড এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন প্রকল্প।
উল্লেখ্য, লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির অনিয়ম তদন্তে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি একটি উপকমিটি গঠন করেছিল।
কমিটির প্রধান হলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন। সিডিএ’র সচিব রবীন্দ্র চাকমা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যান্য সদস্যরা হলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার উপসচিব নাজমুল আলম, সিডিএ’র বোর্ড সদস্য স্থপতি জেরিনা হোসাইন এবং অ্যাডভোকেট সৈয়দ কুদরত আলী।
কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটি প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতি, ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া, প্রকল্প গ্রহণের কারণ এবং প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে কারও চাপ ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করবে।