বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রচ্ছদলিডচট্টগ্রামের সবচেয়ে গরিব উপজেলা আনোয়ারা, ধনী ডবলমুরিং

চট্টগ্রামের সবচেয়ে গরিব উপজেলা আনোয়ারা, ধনী ডবলমুরিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। জেলার ১৫টি উপজেলা ও ১৫টি থানার মধ্যে এই উপজেলায় দারিদ্র্যের হার ৩৪.৩০ শতাংশ, যা অনুযায়ী প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩৪ জনের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানায় দারিদ্র্যের হার সর্বনিম্ন, মাত্র ১.১ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ মানচিত্রে দেশের সব জেলা, উপজেলা ও থানার দারিদ্র্য পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মানচিত্র অনুযায়ী, আনোয়ারা উপজেলার এক লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৮ জন। অপরদিকে, ডবলমুরিং থানা এলাকার ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৪ জন বাসিন্দার মধ্যে কেবল ২ হাজার ৩৬৪ জন দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন।

বিবিএসের হিসাবে, দৈনন্দিন জীবনধারণে পণ্য ও সেবা কেনার জন্য একজন মানুষের প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার ৮২২ টাকা খরচ করার সামর্থ্য না থাকলে, তাঁকে গরিব হিসেবে ধরা হবে। দারিদ্র্য পরিমাপে ১১৯ ধরনের বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় আনে বিবিএস।

২০২২ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপের ভিত্তিতে তৈরি এ মানচিত্রে দেখা যায়, ২০১০ সালের তুলনায় আনোয়ারা উপজেলায় দারিদ্র্যের হার প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, ডবলমুরিং থানার দারিদ্র্যের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ।

জেলার অন্যান্য উপজেলার মধ্যে মিরসরাইতে দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ এবং বাঁশখালীতে ২১.৪ শতাংশ। নগরের আকবরশাহ ও কর্ণফুলী থানা ছাড়া বাকি সব থানায় দারিদ্র্যের হার ১.১ থেকে ৮.৯ শতাংশের মধ্যে। আকবরশাহ থানায় প্রতি ১০০ জনের ১২ জনের বেশি এবং কর্ণফুলীতে ১৫ জনের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য মানচিত্র প্রকাশের সময় বক্তারা বলেন, এ মানচিত্রের মাধ্যমে দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের দারিদ্র্য পরিস্থিতির বিশদ চিত্র পাওয়া যাবে। এর ফলে নীতিনির্ধারকদের উন্নয়ন প্রকল্প ও সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণে সুবিধা হবে।

এই বিভাগের আরও পড়ুন