বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রচ্ছদচট্টগ্রামচট্টগ্রামে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান শুরু হচ্ছে

চট্টগ্রামে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান শুরু হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর নগর পুলিশের বিভিন্ন থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্রের মধ্যে এখনো ১৬৩টি উদ্ধার করা যায়নি। এর মধ্যে রয়েছে ১৯টি চাইনিজ রাইফেল, ৮টি সাব–মেশিনগান (এসএমজি), ৬৪টি পিস্তল, ৫৬টি শর্টগান এবং ১৬টি গ্যাসগান। লুট হওয়া ৮৬ হাজার ৪৭৯ রাউন্ড গোলাবারুদের মধ্যে ১৮ হাজার ৮০১ রাউন্ডেরও কোনো হদিস মেলেনি।

সিএমপির ১৬টি থানার মধ্যে ১০টি থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চাইনিজ রাইফেল, এসএমজি, পিস্তলসহ সর্বমোট ৯৪৮টি অস্ত্র এবং ৮৬ হাজার ৪৭৯ রাউন্ড গুলি লুট হয়েছিল।

পরবর্তীতে অনেক অস্ত্র ফেরত দেওয়া হয় এবং যৌথবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানে ৭৮৫টি অস্ত্র ও ৬৮ হাজার ৩৭১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

সিএমপির একটি সূত্র জানিয়েছে, হদিস না মেলা অস্ত্রগুলো দাগি অপরাধীদের হাতে রয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই অবৈধ ব্যবহারের জন্য এসব অস্ত্র লুট করেছে। হদিস না পাওয়া চাইনিজ রাইফেল, সাব মেশিনগান কিংবা পিস্তলের মতো অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ।

এসব অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করবে বলে জানিয়েছেন সিএমপির এডিসি (মিডিয়া) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।

তিনি বলেন, “লুট হওয়া অধিকাংশ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়ে গেছে। এখনো যেগুলোর হদিস পাওয়া যায়নি সেগুলোও যে কোনো মূল্যে উদ্ধার করা হবে। পুলিশের অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে থাকতে পারে না।”

তিনি আরও জানান, যৌথবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে এবং স্বাভাবিক পুলিশি কার্যক্রমের পাশাপাশি অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও পড়ুন