চট্টগ্রামের চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে বর্তমানে তিনটি দেশ থেকে আমদানি করা চিনি আসছে। ফলে চিনির দাম ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশীয় কিছু শিল্পগ্রুপ চিনির বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করেছিল। এই সিন্ডিকেটের কারণে চিনির দামে অস্থিরতা দেখা দিত। তবে বর্তমানে ব্রাজিল, জার্মানি এবং পাকিস্তান থেকে বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া বৈধ ও অবৈধভাবে ভারতীয় চিনিও বাজারে প্রবেশ করছে। ফলে চিনির বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব কমেছে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
গত এক সপ্তাহে চিনির দাম মণপ্রতি ৫০ টাকা কমেছে। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি মণ চিনি ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪ হাজার ২৫০ টাকা। বর্তমানে পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনির দাম ১১২ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১২৫ টাকা।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন জানান, বর্তমানে ব্রাজিল, জার্মানি, পাকিস্তান ও ভারত থেকে চিনি আমদানি হচ্ছে। এছাড়া দেশীয় কোম্পানির চিনিও বাজারে রয়েছে। ফলে চিনির সরবরাহ বেড়েছে এবং দাম কমেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়ে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এছাড়া চিনির বাজারে পুরনো সিন্ডিকেট ভেঙে দাম কমতে সাহায্য করেছে।
এদিকে, খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তারা আগে বেশি দামে চিনি কিনেছিলেন। ফলে বর্তমান দামে চিনি বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।
উল্লেখ্য, খাতুনগঞ্জের বাজারে ‘ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) স্লিপ’ নামক একটি প্রথা চালু আছে। এই প্রথার মাধ্যমে চিনিসহ অন্যান্য পণ্যের আগাম লেনদেন হয়। কোনো কোম্পানি বাজারে আসার আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের ডিও বিক্রি করে। যদি বাজার দর বেড়ে যায়, তাহলে কোম্পানি পণ্য ডেলিভারি দিতে গড়িমসি করে। এই প্রথার কারণে অনেক সময় চিনির দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।