চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা বিনিয়োগে পতেঙ্গা এলাকায় ‘বে পার্ল হাউজিং’ নামে একটি নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় আউটার রিং রোডের পাশে ২০ একর জায়গায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এতে শতাধিক আবাসিক প্লট এবং ১৫টি বাণিজ্যিক প্লট থাকবে। সিডিএ ইতোমধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন করেছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতি কাঠা আবাসন প্লটের দাম পড়তে পারে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা এবং বাণিজ্যিক প্লটের প্রতি কাঠার দাম হবে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা।
তবে, এতো টাকা দিয়ে কেউ প্লট কিনবে কিনা বা প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা তা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
সিডিএ’র একজন প্রকৌশলী জানিয়েছেন, জায়গার দাম অনেক বেশি। মৌজা মূল্যের তিনগুণ বাড়তি অর্থ দিয়ে জায়গা হুকুম দখল করতে হয়। এরসাথে জায়গার উন্নয়নসহ নানা খরচ থাকে। ফলে আগের মতো তুলনামূলক কম দামে প্লট বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হবে না।
প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ জানিয়েছেন, প্রকল্পটিকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শাম্স জানিয়েছেন, প্রায় ১৩ বছর ধরে সিডিএ’র কোন আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়নি। জায়গার মূল্য বেড়ে যাওয়ায় নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবছর ৫০ হেক্টর জায়গায় প্ল্যান এরিয়া বা আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
সিডিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, সাগরপাড়ের নান্দনিক পরিবেশে ‘বে পার্ল হাউজিং’ গুরুত্বপূর্ণ একটি আবাসিক এলাকা হয়ে উঠবে। কিন্তু জায়গার দাম বেশি হওয়ায় একটি প্লটের দাম এক থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এতো দাম দিয়ে মানুষ প্লট কিনবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে অনন্যা আবাসিক নামের সর্বশেষ আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করেছিল সিডিএ। এরপর আর কোন আবাসিক প্লট তৈরি করেনি।