শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
প্রচ্ছদচট্টগ্রামদীর্ঘ খরা কাটিয়ে আবারও জাহাজ রপ্তানিতে বাংলাদেশ

দীর্ঘ খরা কাটিয়ে আবারও জাহাজ রপ্তানিতে বাংলাদেশ

তরিকুল হাসান

প্রায় দুই বছরের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও জাহাজ রপ্তানিতে ফিরছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘রায়ান’ নামের একটি জাহাজ রপ্তানি করবে। ল্যান্ডিং ক্রাফট ধরনের এই জাহাজটি রপ্তানির মধ্য দিয়ে দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ওয়েস্টার্ন মেরিন সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতে দুটি জাহাজ রপ্তানি করেছিল। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবারও রপ্তানিতে ফিরছে প্রতিষ্ঠানটি। এই সময়ে তারা দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার জন্য জাহাজ নির্মাণ করেছে।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান জানান, বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে জাহাজ নির্মাণের খাতে এখন আবার প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এতে করে নতুন কার্যাদেশ আসার সম্ভাবনা বেড়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘রায়ান’ জাহাজটি রপ্তানির মধ্য দিয়ে জাহাজ রপ্তানিতে যে দীর্ঘ খরা ছিল তা কাটিয়ে উঠবে। একই ক্রেতার কাছে পর্যায়ক্রমে আরও সাতটি জাহাজ রপ্তানি করবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ঢাকার আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড স্লিপওয়েজ প্রথম বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্কে জাহাজ রপ্তানি করে। এরপর ২০১০ সালে জাহাজ রপ্তানিতে যুক্ত হয় চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড।

তবে ২০১১ সাল থেকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে মন্দার প্রভাবে বাংলাদেশের জাহাজ রপ্তানি ব্যাহত হয়। করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এই খাতে আরও ধাক্কা দেয়। ফলে জাহাজ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণও অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তবে সরকারের বিশেষ নীতি সহায়তায় তারা আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মোট ৪৫টি জাহাজ ও জলযান রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা ১৯টি। এসব জাহাজ ও জলযান রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

এই বিভাগের আরও পড়ুন