বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রচ্ছদলিডরাঙামাটি পৌরসভার খোলা মাঠে ফুলের বাগান! স্থান সংকটে শঙ্কিত...

রাঙামাটি পৌরসভার খোলা মাঠে ফুলের বাগান! স্থান সংকটে শঙ্কিত নাগরিকরা

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় রাঙামাটি শহরে খোলা মাঠের সংকট প্রকট। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে খোলা জায়গা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, শহরের গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র খোলা মাঠ পৌরসভা চত্বরে ফুলের বাগান তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় ক্ষুব্ধ শহরবাসী।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, পাহাড়ি এলাকায় খেলাধুলা, সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের জন্য এই মাঠটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফুলের বাগান তৈরি হলে শহর আরও স্থান সংকটে পড়বে।

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রাঙামাটি পৌরসভার নতুন কমপ্লেক্স ভবনের সামনে মাটি খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। পৌরসভার কর্মীরা স্ক্যাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটছেন। এই মাঠেই বিভিন্ন উৎসব, শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। মাঠ সংকুচিত হলে এসব আয়োজন ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্র জানান, মাঠের কতটুকু জায়গা জুড়ে বাগান হবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, নতুন প্রশাসক নিয়োগের পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সদ্য অপসারিত পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী আজাদ বলেন, তাদের সময়ে এমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। এই মাঠ খালি রেখে গাড়ি পার্কিং এবং খেলাধুলার জন্য ব্যবহার করার কথা ছিল।

ক্রীড়া সংগঠক সৈকত রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “ফুলের বাগান হয়তো পৌরসভার সৌন্দর্য বাড়াবে, তবে উন্মুক্ত স্থান ধ্বংস করার ফলে অসুস্থ শহরে পরিণত হবে রাঙামাটি।”

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, “পর্যটন শহর হিসেবে আমরা সৌন্দর্যবর্ধনকে উৎসাহিত করি। কিন্তু সেটা যেন খোলা মাঠের আকার সংকুচিত না করে।”

পৌরসভার প্রশাসক নাসরীন সুলতানা জানান, পৌরসভার গত মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন পৌর কমপ্লেক্সের প্রবেশ পথের দুই পাশে সৌন্দর্যবর্ধন ও লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, “পৌরসভার মাঠ তো পৌরসভার নিজেদের। সেখানে তারা কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার।”

এই বিভাগের আরও পড়ুন