বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রচ্ছদচট্টগ্রামদক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর প্রতীক্ষার অবসান, ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে নতুন কালুরঘাট...

দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর প্রতীক্ষার অবসান, ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে নতুন কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বহুল প্রতীক্ষিত নতুন কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা আশা করছি, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কালুরঘাট নতুন সেতুর কাজ শুরু হবে।”

তিনি কর্ণফুলী টানেল প্রসঙ্গে বলেন, “টানেলটি একটি অপরিকল্পিত প্রকল্প। মাতারবাড়িতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর, একটি ইকোনমিক জোন এবং যাতায়াতের জন্য সড়ক সংযোগের পরিকল্পনা থাকলেও কিছুই হয়নি। শুধু একটি বিদ্যুৎ প্লান্ট হয়েছে। আর এখানে একটি টানেল হয়ে গেছে। অপচয়ের উন্নয়ন আমরা করতে রাজি না।”

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর দিয়ে রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি গত ৭ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একনেকের অনুমোদনের পর এখন সেতু নির্মাণের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কনসালটেন্ট নিয়োগ, ডিটেইল ডিজাইন তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের এবং বাকি ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা দেবে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ)।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের মধ্যে নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বর্তমান পুরাতন সেতুর পাশে কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর উপর নতুন রেল–কাম–সড়ক সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।

মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৭০০ মিটার রেল–কাম–রোড ব্রিজ নির্মাণ, ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ, ২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক ভায়াডাক্ট, ৪ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার বাঁধ, ১১ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক কাজ।

সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও পড়ুন